ঢাকা   শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫ | ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Image Not Found!

সর্বশেষ সংবাদ

  আকিবের চোখে বাংলাদেশ যেখানে ছিল ভারতের ঠিক পরই (খেলাধুলা)        ভাষা শহীদদের প্রতি প্রেসিডেন্ট ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদন (জাতীয়)        মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করলেন প্রধান উপদেষ্টা (ময়মনসিংহ)        কুয়েটে সব ধরনের রাজনীতি বন্ধ থাকবে: সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত (ময়মনসিংহ)        ফুলবাড়িয়া সমিতির দুর্বলতা কাটিয়ে গতিশীল করতে হবে: শামসুল আলম খান (ময়মনসিংহ)        ডিসি সম্মেলন উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা (ময়মনসিংহ)        আজকে ময়মনসিংহ আসছেন ড. মিজানুর রহমান আজহারী (ময়মনসিংহ)        বিপ্লবীরা ও আ.লীগ একসঙ্গে এ দেশে থাকতে পারে না : হাসনাত (ময়মনসিংহ)        রিজার্ভ চুরির তদন্ত প্রতিবেদন ফের পেছাল (ময়মনসিংহ)        প্রবাসীদের মধ্যে চার লাখ মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট বিতরণ (জাতীয়)      

চীন-হংকং থেকে পার্সেল গ্রহণ বন্ধ করল মার্কিন ডাক বিভাগ

Logo Missing
প্রকাশিত: 12:52:22 pm, 2025-02-05 |  দেখা হয়েছে: 3 বার।

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্য উত্তেজনার মধ্যে এবার নতুন পদক্ষেপ নিল যুক্তরাষ্ট্রের ডাক পরিষেবা (USPS)। সংস্থাটি ঘোষণা করেছে, তারা চীন ও হংকং থেকে সাময়িকভাবে পার্সেল গ্রহণ বন্ধ করছে। তবে চিঠি আদান-প্রদানে এই নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পড়বে না।

 

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) USPS তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানায়, এই নিষেধাজ্ঞা "পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত" বহাল থাকবে। তবে তারা এই সিদ্ধান্তের সুনির্দিষ্ট কারণ ব্যাখ্যা করেনি। এ সিদ্ধান্ত আসে এমন এক সময়ে, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর নতুন করে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন।

নতুন এ শুল্ক নীতির ফলে আগের ‘ডি মিনিমিস’ (de minimis) কর ছাড় সুবিধা বাতিল হয়ে গেছে, যার আওতায় ৮০০ ডলার বা তার কম মূল্যের পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে কর ও শুল্ক আরোপ করা হতো না। চীনা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান শিন (Shein) ও টেমু (Temu)-র মতো কোম্পানিগুলো এই কর সুবিধার মাধ্যমে মার্কিন ক্রেতাদের কাছে ব্যাপকভাবে পণ্য পাঠাতো। তবে সম্প্রতি মার্কিন প্রশাসন এই সুবিধার অপব্যবহার ও নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে।

চীনের পক্ষ থেকেও পাল্টা প্রতিক্রিয়া এসেছে। দেশটি জানিয়েছে, তারা ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা কয়লা ও তরল প্রাকৃতিক গ্যাসের (LNG) ওপর ১৫ শতাংশ এবং অপরিশোধিত তেল, কৃষি যন্ত্রপাতি ও বড় ইঞ্জিনচালিত গাড়ির ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শিগগিরই চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলবেন বলে জানা গেছে।

বাণিজ্য বিশেষজ্ঞ ডেবোরাহ এলমস বলেন, "ট্রাম্পের নতুন শুল্ক নীতির কারণে ই-কমার্সের মাধ্যমে সরাসরি চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য পাঠানোর সুযোগ অনেকটাই সংকুচিত হবে।" ২০২৩ সালে মার্কিন কংগ্রেসের চীনবিষয়ক কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে আসা ‘ডি মিনিমিস’ ক্যাটাগরির প্রায় অর্ধেক পার্সেলই চীন থেকে আসে, যা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বাণিজ্য সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দুই দেশ শুল্ক নীতিতে কঠোর অবস্থান নিলে বৈশ্বিক সরবরাহ চেইনেও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এখন সবার নজর ট্রাম্প-শি বৈঠকের দিকে, যেখানে হয়তো নতুন সিদ্ধান্ত আসতে পারে। তথ্যসূত্র : বিবিসি